“ক্লিওপেট্রা”- লেখক: হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড- রিভিউ

তারিখ:

পোস্ট শেয়ার করুন:

“ক্লিওপেট্রা”- লেখক: হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড- রিভিউ

“ক্লিওপেট্রা”

লেখক: হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড

মিস্ট্রি জনরার লেখালেখিতে হ্যানরি রাইডার হ্যাগার্ড একটি অবিস্মরণীয় নাম। বিশেষ করে, মিশরীয় মিথ ও ইতিহাস আশ্রিত বইগুলো তিনি এমনভাবে রচনা করেছেন যে সেগুলোকে পড়ার সময় মনে হয় ঠিক যেন চোখের সামনে ঘটছে। হেনরি স্যারের বিখ্যাত কর্মগুলোর মধ্যে একটি হলো “ক্লিওপেট্রা”। পাঠক নিশ্চয় নাম দেখেই বুঝে ফেলেছেন বইটি ক্লিওপেট্রার জীবনী নিয়ে লেখা। আমরা বইটি সম্পর্কে সবিস্তর আলোচনা করব তার আগে আসুন জেনে নিই ক্লিওপেট্রা সম্পর্কে কিছু তথ্য:

পৃথিবী ইতিহাসের সবচেয়ে সুন্দরী মহিলার একজন হলেন ক্লিওপেট্রা। তিনি ছিলেন প্রাচীন মিশরীয় টলেমিক বংশের সদস্য। ধারণা করা হয়, তাঁর বাবার পূর্বপুরুষ ছিলেন মহামতি আলেকজান্ডারের একজন সেনাপতি যিনি আলেকজান্ডারের মৃত্যুর পরে অবৈধভাবে মিশরের ক্ষমতা দখল করেন এবং টলেমিক বংশের গোড়াপত্তন করেন। তাঁর বাবার মৃত্যুর পরে আর কোনো যোগ্য উত্তরসূরী না থাকায় সে তাঁর বাবার মৃত্যুর পর মিশরের ফারাও হিসেবে নিজেকে অধিষ্ঠিত করে।

ক্লিওপেট্রাকে নিয়ে বেশ কিছু কালজয়ী উপন্যাস লিখা হয়েছে। যেমন,

উইলিয়াম শেক্সপিয়রের ‘অ্যান্টনি অ্যান্ড কিওপেট্রা’, জর্জ বার্নাড শ’র ‘সিজার ক্লিওপেট্রা’, জন ড্রাইডেনের ‘অল ফর লাভ’, হেনরি হ্যাগার্ডের ‘ক্লিওপেট্রা’। তাঁর ব্যাপারে সবকিছুই আসলে ধোঁয়াশা মত! পৃথিবীর ইতিহাসে ওয়ান অফ দ্য মোস্ট ইনফ্লুয়েনশিয়াল লেডি এই ক্লিওপেট্রা। হ্যালিওয়েল তাঁকে ‘দ্য উইকেডেস্ট উইম্যান ইন দ্য হিস্ট্রি’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। বলা বাহুল্য, এই উপমাটি ক্লিওপেট্রার সাথে বেশ যুতসই!

সারসংক্ষেপ:

ক্লিওপেট্রা সম্পর্কে প্রথম পড়েছিলাম, হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড’র ‘ক্লিওপেট্রা’ উপন্যাসে। বইয়ের প্রথমেই যা আকর্ষণ করবে তা হলো, বইয়ের ভূমিকা। এখানে বই এর ভূমিকাটা এমনভাবে লিখা আছে যে, যে কেউ সেটা দেখে সত্যি ভাবতে বাধ্য!

ভূমিকাতে লিখা আছে,

লেখকের এক ডাক্তার বন্ধু আছেন। তিনি ছোটোবেলা থেকেই খুব অ্যাডভেঞ্চার প্রিয়। তিনি মিশরের প্রাচীন শহর অ্যাবাউদিসে চোরদের কাছ থেকে ভিন্ন ধরণের তিনটি কবরের খোঁজ পায়। এরপর কৌতূহলী হয়ে চোরদের ঘুষ দিয়ে ম্যানেজ করে সেখানে যান। সেখানে একটা পড়ে থাকা অবশিষ্ট কফিন দেখতে পায়। কফিনটা ভেঙ্গে দেখেন একটু অদ্ভুতভাবে একটা মমি শোয়ানো আছে। দেখে মনে হল, মানুষটিকে যথাযোগ্য মর্যাদায় দাফন করা হয়নি। আর তাঁকে শিরচ্ছেদ করে মারা হয়েছিল। কফিনের মাঝে সে তিনটা প্যাপিরাস(আমরা যাকে চিঠি বা ডায়েরি টাইপের জিনিস বলি আর-কি!) খুঁজে পান।

এরপর দিন দশেক পরে তিনি এবং লেখক প্যাপিরাসটি একজন হায়ারোগ্লিফিক-এর কাছে নিয়ে যান। বিশেষজ্ঞ প্যাপিরাসগুলো ভালোভাবে দেখে অত্যন্ত কৌতূহলী হয়ে পড়েন এবং বলেন,

‘আমি মরে গেলেও প্যাপিরাস তিনটা অনুবাদ করবো। কেউ ঠেকাতে পারবে না আমাকে।”

যাইহোক, ভূমিকা অনুযায়ী প্যাপিরাসগুলো গল্পের নায়ক হারমাচিস-এর লিখা এবং কফিনটাও তাঁরই! অতএব, বইয়ের বাকী লিখাটা হারমাচিস এর প্যাপিরাস অনুযায়ী তাঁর জীবনী বলা চলে!

বইয়ের কাহিনী সংক্ষেপ:

অনুচ্ছেদের প্রথম লাইনটি শুরু হয়,

“দেবী ওসিরিসের নামে শপথ, আমার এই কাহিনীর প্রতিটা অক্ষর সত্য। আমার নাম হারমাচিস……”

কাহিনির শুরু হয় ক্লিওপেট্রা ও হারমাচিসের জন্মের মধ্য দিয়ে। ক্লিওপেট্রা যেদিন জন্মায় ঠিক একই দিনে জন্মায় হারমাচিস নামের এক পুরোহিত পুত্র। কিন্তু কে এই হারমাচিস? হারমাচিস হলো প্রকৃত প্রাচীন মিশরীয় পরিবারের শেষ উত্তরসূরী। মিশরের সিংহাসনে বসার প্রকৃত দাবিদার। কেননা, তাঁর পরিবার ক্লিওপেট্রার পরিবারের চেয়েও পুরনো। ক্লিওপেট্রার পূর্বপুরুষ অবৈধ ক্ষমতা দখলের পর থেকে এই দুই বংশের মধ্যে গোপন শত্রুতার বিষবাষ্প প্রবাহিত হয়ে আসছে। আর হারমাচিসের জন্ম সেই বিষবাষ্পকে আরও ঘনীভূত করে তোলে।

যাইহোক, হারমাচিসের মা একদিন স্বপ্নে দেখেন উনার সন্তান একদিন মিশনের সিংহাসন দখল করবে। হারমাচিসকে জন্ম দিয়েই তাঁর মা মারা যান। হারমাচিসের বাবা কড়া নির্দেশ দেন যেন এই স্বপ্নের কথা কেউ জানতে না পারে। কিন্তু, গোপন কথা বাতাসের চেয়েও তীব্র গতিতে ছড়ায়। স্বপ্নের কথা হারমাচিসের দাইমা অটোয়া’র  অসচেতনতায় প্রকাশ হয়ে যায়। কথা রাজমহল পর্যন্ত পৌঁছাতে বেশি সময় লাগে না।

মিশরের রাজা তাৎক্ষনিকভাবে সৈন্য পাঠিয়ে দেন বাচ্চাটিকে হত্যা করতে। কিন্তু, দাইমার সহযোগিতায় সে এই যাত্রা বেঁচে যায়। তাঁকে নিজেরই বাবার পালিত সন্তান পরিচয়ে বড় করা হয়।

হারমাচিসের শরীরে ছিল প্রাচীন রাজবংশীয় রক্ত। সে বয়সের সাথে সাথে সুঠামদেহ, জ্ঞানের অধিকারী হলো। যাদুবিদ্যা, জ্যোতিশাস্ত্র, শিকার ও যুদ্ধ কৌশলে পারদর্শী হয়ে উঠলো। তারুণ্যের স্ফুটনাংক চরমে ঠিক এই সময়ে সে জানতে পারল তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় সত্যিটা।

হারমাচিস তাঁর মামার কাছ থেকে জানতে পারে, ‘ক্লিওপেট্রার পূর্বপুরুষ কীভাবে রাজত্ব দখল করে। তাই সে তার বংশের শত্রু, তার শত্রু, সমগ্র মিশরের শত্রু। ক্লিওপেট্রাকে সিংহাসন থেকে সরাতে পারলে তবেই মিশরের মাটি পবিত্র হবে। আর আদি শাসকের উত্তরসূরী হিসেবে হারমাচিসকেই এক দায়িত্ব নিতে হবে।’

হারমাচিস তাঁর মামার তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন যুদ্ধ কৌশল রপ্ত এবং সমস্ত বিষয়ে জ্ঞান আহরণ করতে থাকে। সমস্ত জীবন সাধনা এবং বিদ্যা অর্জনে কাটিয়ে দেয়। সে অ্যাবাউদিস মন্দিরের প্রধান পুরোহিতের দায়িত্ব পায়।

এরপর সেই মাহেন্দ্রক্ষণের মুখোমুখি হয়, বাবা-পরিবার-মিশরবাসীকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালনের সময় এসে যায়। এই সময়ে তাঁর মামা তাঁকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপদেশটি প্রদান করেন। তিনি বলেন, ক্লিওপেট্রার রূপের সম্মোহনে যেন সে না পড়ে। তাহলে সকল পরিকল্পনা ভেস্তে চলে যাবে। সবচেয়ে বড় বীর সেইই হয় যে নিজের মনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

বিদায় বেলায় হারমাচিসের বাবাও তাঁকে সাবধান করে দেন, ‘তুমি নারীসঙ্গ কখনো পাওনি। আলেকজেন্দ্রিয়ায় গিয়ে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সুন্দরীদের দেখতে পাবে। মনে রেখো, দীক্ষার রাতে পুরোহিতরা তোমার পুঁথিগত বিদ্যার পরীক্ষা নিয়েছল, চরিত্রের না। আলেকজেন্দ্রিয়ায় চরিত্রের পরীক্ষা অপেক্ষা করছে তোমার জন্য। আর এই পরীক্ষা দেবতারা নেবেন। সেই পরীক্ষার সফলতা-ব্যর্থতার উপর তোমার বেঁচে থাকা বা ধ্বংস নির্ভর করবে। বিদায় হারমাচিস!’

হারমাচিস বাবাকে আশ্বস্ত করে যে সে তাঁর উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করেই ফিরবে। হারমাচিস সবাইকে আলিঙ্গন করে বিদায় নিয়ে আলেকজান্দ্রিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিল যেখানে রাজমুকুট তাঁকে অভিবাদন জানাতে অপেক্ষা করছে।

হারমাচিস জ্যোতিষীর ছদ্মবেশ ধরে আলেকজেন্দ্রিয়ায় প্রবেশ করে। পরেরদিন ছিল ক্লিওপেট্রার জন্মদিন। পুরো শহর জেগে উঠলো উৎসবে। ক্লিওপেট্রাকে এক নজর দেখার জন্য রাস্তায় মানুষের ভিড় জমল। সেই ভিড়ের মধ্যে হারমাচিস নিজেও ছিল। 

মহামান্য রাণী আসছেন- ঘোষণা দিতে দিতে নকিব ও সৈন্যের দল সাবধানবাণী করে গেল। মানুষের মধ্যে উল্লাস বেড়ে গেল। সুন্দরের দেবীকে এক নজর দেখার জন্য রাস্তার দু’পাশে জনতার বাঁধ ভেঙে গেল রানীর নাম ধরে চিৎকারে।

ঠিক এই সময়ে একটা অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটে যায়। দেহরক্ষীদের মধ্যে দানব আকৃতির একজন রাস্তা ফাঁকা করতে সামনে যাকে পাচ্ছিল পেটাচ্ছিল। সে রাস্তার পাশে বাচ্চাকোলে দাঁড়িয়ে থাকা এক মা’কে মাথায় আঘাত করলে মহিলা অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান। হারমাচিস এই অন্যায় সহ্য করতে না পেরে রক্ষীর সাথে মারামারি লাগিয়ে দেয়। ঠিক এই সময়ে হাজির হয় রাণী। রক্ষীরা হারমাচিসকে আটক করে তাঁর সামনে হাজির করে। দুই চিরশত্রু প্রথমবারের মতো মুখোমুখি হয়।

ক্লিওপেট্রা রক্ষীকে আঘাত করার কারণ জানতে চাইলে হারমাচিস ঘটনা খুলে বলে সেইসাথে ছলনার আশ্রয় নিয়ে বানিয়ে বানিয়ে বলে,

‘সুন্দরের দেবী, আপনাকে দেখতে চাওয়া যদি অপরাধ হয়ে থাকে তবে ভোরের সূর্য কিংবা পূর্ণিমার চাঁদ দেখাও অপরাধ।’

হারমাচিসের কথা এবং উপমা শুনে ক্লিওপেট্রার মন গলে যায়। সাথে তৎক্ষনাৎ সে অপরাধী রক্ষীকে শিরশ্ছেদ করার নির্দেশ দেয়। ক্লিওপেট্রা ও হারমাচিসের শেষবারের মতো চোখাচোখি হবার পরে সে তাঁর বহর নিয়ে প্রস্থান করল।

এরপরে গল্পে আরেকটি চরিত্রের আগমন ঘটে। ‘চারমিওন’ যে রাণীর খাস চাকরানী। চারমিওন হারমাচিসের মামার হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করে। ক্লিওপেট্রার সব খবরাখবর এনে দেয়। চারমিওন হারমাচিসকে প্রাসাদে ঢোকার সকল প্রকার সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেয়। সেইসাথে ক্লিওপেট্রাকে হত্যা করার পরিকল্পনা বুঝিয়ে দেয়।

সাংঘাতিক পরিকল্পনার কথা শুনে হারমাচিস কেঁপে ওঠে বলল, ‘আমার চেয়েও বেশি সাহসী তুমি!’ এই পরিকল্পনায় চারমিওনের বড় ধরনের ভূমিকা ছিল। আর তাছাড়া চারমিওনের নিজের শরীরেও প্রাচীন বংশীয় রক্ত বইছিল। সেও হারমাচিসের মতোই সিংহাসনের আরেক উত্তরসূরী। বইতে হেনরি স্যার চরিত্রটিকে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছেন। 

যাইহোক, হারমাচিসের জ্ঞান, যাদুবিদ্যা, ভবিষ্যৎবাণী ও সৌন্দর্য দেখে ক্লিওপেট্রা মুগ্ধ হয়ে তাকে রাজদরবারে জ্যোতিষী কাম যাদুকর হিসেবে চাকরি দিয়ে দেয় সেইসাথে প্রাসাদ সংলগ্ন বাড়িতে থাকার ব্যবস্থাও করে দেওয়া হয়। হারমাচিস ও তাঁর সহযোগীদের প্রথম পরিকল্পনা সফল হয়ে যায় যা মিশরের শাসন ব্যবস্থা পরিবর্তনের বীজ বপন করে।

এরপর থেকে মূলত ক্লাইম্যাক্স শুরু হয়।  প্রেম-যুদ্ধ-বিগ্রহ-হিংসা-প্রতিশোধ-দায়িত্ববোধের এক অসাধারণ মিশ্রণ ঘটে। যার থ্রিল আপনাকে বই থেকে মুখ তোলার সুযোগ দেবে না।

প্রশ্ন জাগতে পারে,

এরপর ক্লিওপেট্রার সাথে কী ঘটে? হারমাচিস কী পেরেছিল প্রতিশোধ নিয়ে? না কি ক্লিওপেট্রার রূপ এবং তীক্ষ্ণ বুদ্ধির সম্মোহনের জাদুতে অনুগত হয়ে পড়ে? সফলতা না কি ধ্বংস কী অপেক্ষা করছিল হারমাচিসের জন্য? প্রতিশ্রুতি না কি অভিশাপ কোনটা বেঁছে নেয় হারমাচিস?

জানতে হলে আপনাকে বইয়ের বাকী অংশটুকু পড়তে হবে। বাকীটুকুও যদি আমি বলে দিই তাহলে হয়তো মিশরীয় সমগ্র পিরামিড জেগে উঠে আমার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করবে! তাই, আপনি যদি বই প্রেমী হয়ে থাকেন তবে অবশ্যই হ্যানরি রাইডার হ্যাগার্ডের এই অমর সৃষ্টিটি একবার চোখ বুলিয়ে নেওয়া উচিত। অন্তত ক্লিওপেট্রার জন্য হলেও তো একবার পড়া উচিত। এই সম্মোহনী সৌন্দর্য আর সীমাহীন ক্ষমতার অধিকারীনীকে জানার কৌতূহল আরও বেড়ে যাবে।

মন্তব্য:

ক্লিওপেট্রার ব্যাপারে লেখা গল্প গুলোর প্রায় সব গুলোতেই তাঁর অধিকতর খারাপ দিকটা ফুটে উঠেছে। কখনো তিনি শত্রু বনেছেন, কখনো বা স্বাধীনতাকামী, কখনো আবেদনময়ী নারী, কখনো খলনায়িকা; নানা জনে নানা যুগে এভাবেই তাকে চিত্রিত করে গেছেন! কিন্তু, ক্লিওপেট্রা তাঁর রূপ এবং তীক্ষ্ণ বুদ্ধিমত্তা দিয়ে সর্বদা নিজের ক্ষমতা প্রদর্শন করে গেছেন। তামাম বড়বড় বীরযোদ্ধারা তাঁর রূপ ও বুদ্ধির কাছে পরাজিত হয়ে তাঁর অনুগত হতে বাধ্য হয়েছে। এই বইটিতেও একই চিত্র ফুটে উঠেছে।

‘ক্লিওপেট্রা’ বইটির অনেকগুলো অনুবাদ বিভিন্ন প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছে। তবে, ব্যক্তিগত ভাবে আমার কাছে সেবা প্রকাশনীর সায়েম সোলাইমানের অনুবাদটি তুলনামূলক সহজবোধ্য মনে হয়েছে। আপনি যেকোনোটিই পড়তে পারে।

ক্লিওপেট্রা- অনুবাদ সায়েম সোলায়মান, সেবা প্রকাশনী, ছবি- সংগৃহীত

সেই সাথে- উইলিয়াম শেক্সপিয়রের ‘অ্যান্টনি অ্যান্ড কিওপেট্রা’, জর্জ বার্নাড শ’র ‘সিজার ক্লিওপেট্রা’, জন ড্রাইডেনের ‘অল ফর লাভ’, বইগুলিও পড়ে দেখতে পারেন। আশা করি পড়ে ভালো লাগবে। ধন্যবাদ।

বুক রিভিউ

রিভিউ করেছেন drishty rubayet

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

spot_img

সম্পর্কিত নিবন্ধ

জুতা (ছোট গল্প)- আফিন্দী

জুতাবিদ্যুৎ’এর গলার তেজে ফাঁকা মেসরুম গমগম করে উঠলো, “ভাই, তুমি যাবে পাঁচ ভাইয়ে? খিদেয় আমার জান যায়! খালা...

মৃত্যু পরবর্তী জগতের অভিজ্ঞতা 

মৃত্যু পরবর্তী জগতের অভিজ্ঞতা  মৃত্যু পরবর্তী জীবনের অভিজ্ঞতা কেমন? মানুষ তার অনিশ্চিত জীবনে শুধু একটি বিষয়ের নিশ্চয়তা নিয়ে জন্মেছে।...

বুক রিভিউ- হুমায়ূন আহমেদের ‘মেঘ বলেছে যাব যাব’

বুক রিভিউ- হুমায়ূন আহমেদের 'মেঘ বলেছে যাব যাব' বুক রিভিউ- হুমায়ূন আহমেদের 'মেঘ বলেছে যাব যাব'।বইয়ের নাম:মেঘ বলেছে যাব...

ডা. স্যাটান: সিরিয়াল কিলার ডা. মার্সেল পেটিওটের ভয়ংকর গল্প!

তাকে আখ্যা দেয়া হয়েছিল ডা. স্যাটান বলে। তিনি একই সাথে একজন সৈনিক, ডাক্তার, মেয়র, ভয়ঙ্কর অপরাধী এবং সিরিয়াল...