কোন কারণে বিখ্যাত বিজ্ঞানী স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু নোবেল পুরস্কার পাননি?

তারিখ:

পোস্ট শেয়ার করুন:

কোন কারণে বিখ্যাত বিজ্ঞানী স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু নোবেল পুরস্কার পাননি?

স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু’র জন্ম মুন্সিগঞ্জে। তিনি ছিলেন একজন পদার্থবিদ, জীববিজ্ঞানী এবং কল্পবিজ্ঞান রচয়িতা।  

সেকালের ভারত উপমহাদেশ থেকে শুরু করে আজকের ভারত, বাংলাদেশ অথবা পাকিস্তান-যুগ যুগ ধরে অনেক কিছুর অভাব থাকলেও প্রতিভার বিন্দুমাত্র অভাব নেই আমাদের এখানে।

ইউরোপ আমেরিকার মতো ঠিকঠাক পৃষ্ঠপোষকতা এবং উপযুক্ত পরিবেশ পেলে তৎকালীন আমাদের এই ভারত উপমহাদেশ থেকেও কত যে নামি-দামি প্রতিভাবান আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সেরাদের সেরা হয়ে থাকতো তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

যাই হোক, ছোটবেলায় আমরা বই পুস্তকে পড়ে এসেছি, গাছের যে প্রাণ আছে এটা আবিস্কার করেছেন আমাদের এক বাঙালী বিজ্ঞানী, স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু। তিনি ছিলেন বহু গুনের অধিকারি, আবিস্কার করেছিলেন, ক্রেস্কোগ্রাফ যন্ত্র -এই যন্ত্র দিয়ে উদ্ভিদের সংবেদনশীলতা পরিমাপ করা যায়। আমরা আরো জানি প্রথমে রেডিও আবিস্কার করেছিলেন স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু।

কিন্তু আসলে ফুল রেডিও তিনি আবিস্কার করেননি, করেছিলেন রেডিওর একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ অংশ-কোহেরার। এই কোহেরার দিয়ে বেতার সংকেত রিসিভ করা যেতো। বলা বাহুল্য তখন একই সময়ে বেতার তরঙ্গ আবিস্কার করার জন্য আরো অনেক বিজ্ঞানিই গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। সেখানে সফল ভাবে বেতার তরঙ্গ রিসিভার আবিস্কার করেন একমাত্র আমাদের আচার্য স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু।

এই কোহেরার আবিস্কার এর পরেই তিনি সেটার প্যাটেন্ট না নিয়ে সরাসরি বিভিন্ন জার্নালে প্রকাশ করেন। এছাড়াও বিভিন্ন বক্তৃতা এবং আলোচনা সভাতেও কোহেরার আবিস্কারের কথা জনসমক্ষে জানাতে থাকেন।

ফলশ্রুতিতে মার্কনি (যাকে আমরা রেডিওর আবিস্কারক হিসেবে জানি) কোহেরার আবিস্কার এর সব তথ্য হাতিয়ে নেয় আর রেডিওর বাকী অংশ আবিস্কার করে সুনিপুণভাবে নিজের নাম প্যাটেন্ট করে নেয়।

যদি তিনি শুরুতেই কোহেরার আবিস্কারের প্যাটেন্টটা নিয়ে রাখতেন, তাহলে মার্কনি কোনভাবেই এই আবিস্কার নিজের নামে চালিয়ে দিতে পারতো না,পারতো না নিজে নিজে রেডিও নামের যন্ত্রটাকে কাঠামোগত কোন চেহারা দিতে।

যাই হোক, বাঙালি বিজ্ঞানী কিছুটা আত্মভোলা প্রকৃতির ছিলেন। প্রায়ই তাঁর আবিস্কার বিশেষ করে অন্যান্য দেশের লোকেরাই চুরি করে নিতো এবং নিজেদের নামে চালিয়ে দিতো।

তবে বিশ্বজুড়ে তখন এতোটাই সোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন এই বিজ্ঞানী, প্রশংসায় মুখরিত হয়ে থাকতো বিজ্ঞানী মহলে। আর তাই লর্ড কেলভিন বাঙালি বিজ্ঞানীর প্রশংসায় বলেছিলেন “You are literally filled with wonder and admiration: allow me to ask you to accept my congratulations for so much success in the difficult and novel experimental problems which you have attacked.”

যদিও শ্রদ্ধেয় স্যার জগদীশের নিজের প্যাটেন্ট না নিয়ে রাখার সুযোগে বেতারের আবিস্কারক হিসেবে মার্কনি নিজের নাম কামিয়ে নেন। তবুও ১৮৯৭ সালে তখনকার ফরাসি আকাদেমি অফ সায়েন্স জগদীশ চন্দ্র বসুকে জানায় “the very first result of your researches testify to your power of furthering the progress of science. For my own part, I hope to take full advantage of the perfection to which you have brought your apparatus, for the benefit of Ecole Polytechnique and for the sake of further researches I wish to complete”

তবে বাঙালীর হাহাকার হলো কেন তখন স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু নোবেল প্রাইজ পাননি? শুধু ভারতীয় ছিলেন বলে? নাকি অন্য কোন কারণ এখানে ছিলো? কোনভাবে যদি তিনি নোবেল প্রাইজটা পেতেন, এক অন্যরকম ইতিহাস রচিত হতো তখনকার ভারতীয় বাঙ্গালীদের জন্য৷ পরপর দুই বাঙালি (জগদীশ চন্দ্র বসু, আর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর) নোবেল পেয়ে বাঙালি জাতিকে করতো আরো অনেক বেশি সমৃদ্ধ।

ভারতীয় উপমহাদেশে বিজ্ঞান চর্চার জনক স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু একাধারে ছিলেন পদার্থবিজ্ঞানী, এবং উদ্ভিদবিজ্ঞানি। উদ্ভিদের প্রাণ আছে এটা তিনি আসলে আবিস্কার করেননি, কিন্তু উদ্ভিদ ও যে প্রানীর মত বিভিন্ন শারীরিক কাজে সাড়া প্রদান করে এই জগদ্বিখ্যাত বিজ্ঞানি তা সর্বপ্রথম আবিষ্কার করেছিলেন।

তাঁর আবিষ্কারগুলো মুলত ছিলো-

-বিদ্যুৎ তরঙ্গ সম্পর্কীত পদার্থবিদা।
-জড় ও জীবের সাড়ার ঐক্য।
-উদ্ভিদের শারীরবৃত্ত সম্পর্কিত গবেষণায় পদার্থবিদ্যার প্রয়োগ।
-তিনি ছিলেন প্রথম বায়োফিজিসিস্ট।
-স্ফিগমোগ্রাফ, ফটোমিটার, ফটোসিন্থেটিক বাব্‌লার ইত্যাদি যন্ত্র তিনি আবিস্কার করেছিলেন ইলেকট্রিক লাইটের এগেইন্সট এ উদ্ভিদের সাড়া কতটা এবং কিভাবে তা পরিমাপ করার জন্য।
–এছাড়াও আরো অসংখ্য ছোটবড় আবিস্কার উনার ছিলো।

যাই হোক, ফিরে আসছি আবার সেই প্রসঙ্গে, কেন নোবেল পাননি এই জগদ্বিখ্যাত বিজ্ঞানি? ১৯০৯ সালে যে নোবেল ঘরে তোলেন মার্কনি রেডিওর আবিস্কারক হিসেবে, ঘটনা এমন নাও হতে পারতো ৷ রবীন্দ্রনাথের অন্তত ৪ বছর আগেই প্রথম ভারতীয় বিজ্ঞানী হিসেবে নোবেল পেতে পারতেন জগদ্বিখ্যাত বসু স্যার নিজেই।

কিন্তু তিনি তা পাননি। এখানে বড় কোন ষড়যন্ত্র ছিলো, তা নয়। বরং বিজ্ঞান চর্চায় যারা আমাদের আরাধ্য, সেই দুনিয়াজোড়া বিখ্যাত মানুষেরা অন্যের কৃতিত্ব নিজের নামে চালিয়ে মাঝেমধ্যেই যে সেরা হতে চান, রেডিওর আবিস্কারক হিসেবে নোবেল পাওয়া মার্কনি তার জ্বলজ্যান্ত প্রমাণ!

সুকৌশলে মার্কনি জগদীশ চন্দ্র বসুর আবিস্কার করা রেডিও র সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ নিজের নামে চালিয়ে দেন, করে নেন প্যাটেন্ট।

দুনিয়ার সব বিজ্ঞানীরাই মুখিয়ে থাকে নিত্য নতুন আবিস্কার এর জন্য। এক নতুন আবিস্কার মানেই নতুন করে অনেক গবেষণার পথ খুলে যাওয়া। আমরা জানি কোন আবিষ্কার জার্নালে প্রকাশ করা মানেই, সেটা সবার নজরে আসা। আর এখানেই সুযোগ থাকে চুরি করার। আর এ চুরি ঠেকাতেই বিজ্ঞানীরা জার্নালে কোন কিছু পাব্লিশ করার আগে তার প্যাটেন্ট নিয়ে রাখেন।

কিন্তু কোহেরার আবিস্কার এর কোন প্যাটেন্ট তিনি রাখেননি। অন্যান্য অনেক বিজ্ঞানীরা তাকে অনেক অনুনয় করেছিল এটার প্যাটেন্ট নিয়ে রাখার জন্য। কিন্তু তিনি তা না করেই সরাসরি জার্নালে কোহেরার বিস্তারিত প্রকাশ করে দেন।

কেন তিনি রেডিও আবিস্কার এর প্যাটেন্ট নিয়ে রাখেননি? এর কারন দুটো। প্রথমত তিনি মানুষটাই ছিলেন এমন, সহজ সরল, একেবারে ভোলাভালা! একমাত্র গবেষণার কাজে বুদ হওয়া ছাড়া অন্য কোন নিয়মকানুনের ধারে কাছেও উনি যেতে চাইতেন না যেন।

জগদীশ চন্দ্র বসু । সূত্রঃ উইকিপিডিয়া

তাছাড়া, সারাজীবন নিজের জন্য চিন্তা না করে তার আবিস্কার দিয়ে কিভাবে মানুষের উপকার হবে সেদিকে তিনি থাকতেন সদা মনোনিবেশকারী।
উনার কাছে উনার নাম, যশ ইত্যাদির কোন ভুমিকা ছিলো না। আবিস্কারক হিসেবে নাম পাওয়ার চেয়েও উনি গুরুত্ব দিতেন তার আবিস্কার কতটা মানুষের কাজে আসতে পেরেছে সেদিকে।

১৯১৭ সালে উনাকে যখন সরাসরি জিজ্ঞেস করা হয়েছিল,কেন উনি রেডিওর আবিস্কারক হিসেবে নিজের প্যাটেন্ট নিয়ে রাখেননি, উনি বলেছিলেন-

“পেটেন্ট নেওয়ার অর্থই জ্ঞানকে সীমাবদ্ধ করে ফেলা। তা সকলের জন্য উন্মুক্ত করে রাখাই উচিত। তাছাড়া আবিষ্কারক নয়, আবিষ্কারটাই গুরুত্বপূর্ণ। ”

এমনই এক সত্যসন্ধানী ভালো মানুষ ছিলেন আমাদের স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু। তাঁর আবিস্কার করা রেডিও নিয়ে নির্বিঘ্নে মার্কনি নোবেল নিয়ে নিলো-সেটা নিয়েও তার ন্যুনতম আফসোস ছিলো না।

দ্বিতীয়ত, একজন ভারতীয় বিজ্ঞানী হিসেবে তখন প্যাটেন্ট নেওয়াটাও কম ঝামেলার ছিলো না। যারা তাঁর জীবনি পড়েছেন তারা হয়তো দেখেছেন কর্মক্ষেত্রের প্রায় প্রতিটা মুহুর্তেই স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু কিভাবে তাঁর উর্ধতন কর্মকর্তার চক্ষুশূল হয়ে ছিলেন। যেখানে নিজের গবেষণার কাজ করার জন্যও তিনি পাননি ল্যাব বা অন্যান্য সুবিধা, বাধ্য হয়েই নিজ খরচে বানিয়েছেন নিজের ল্যাব। কাজেই আমাদের মতে সেই আমলে ইংরেজ শাসকদের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে প্যাটেন্ট নেওয়া -আসলে অত ঝামেলায় যেতে চাননি সম্ভবত এই মহান বিজ্ঞানী।

আধুনিক সমাজে একটা কথা প্রচলিত আছে। ডকুমেন্টস বা পেপার প্রমাণ করে তুমি কতটা কাজ করেছো। ব্যাপারটা এমন আমরা সবাই জানি রেডিওর আবিস্কারক হিসেবে জগদীশ চন্দ্র বসু নোবেল প্রাইজের দাবিদার। কিন্তু যেহেতু তিনি প্যাটেন্ট করে রাখেননি। তাই তাঁর আবিস্কার ছিলো তখন খোলা বইয়ের মতোন ৷ আর সুচতুর মার্কনি এই আবিস্কার নিজের নামে প্যাটেন্ট করিয়ে নেয়। ফাইনালি নোবেলটাও হাতিয়ে নেয়।

মার্কনি ছিলো এক ধূর্ত, সর্বদা সুযোগ এর খোঁজ করা এক চতুর বিজ্ঞানী। অপরদিকে আমাদের বসু স্যার ছিলেন মার্কনির সম্পুর্ন উল্টো। যেখানে মার্কনি সারাদিন ব্যস্ত থাকতো নতুন নতুন সুযোগ খুঁজতে, সেখানে তিনি ব্যস্ত থাকতেন পদার্থবিদ্যা আর জীবতত্ত্ববিদ্যাতে আসলে কি আছে তা খুঁজে পেতে। যেখানে মার্কনি ব্যস্ত ছিলো নিজেকে কিভাবে হাইলাইট করবে অন্য সব দাবীদার দের সরিয়ে, সেখানে স্যার বসু ব্যস্ত ছিলেন কিভাবে তাঁর আবিস্কার দিয়ে জনকল্যাণে অংশ নিবেন।

তবে থলের বিড়াল সারাজীবন থলেতেই থাকে না৷ দেরীতে হলেও মানুষ জেনেছে আসলে রেডিওর আসল আবিস্কারক কে ছিলেন। যেই আই-ট্রিপল একসময় মার্কনিকে রেডিওর একমাত্র জনক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিলো, সেই আই ত্রিপল অবশেষে এটা স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে সে রেডিও আবিস্কার এর আদি-পিতা ছিলেন স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু।

প্রবীর বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯৯৮ সালে স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু যে সর্বপ্রথম রেডিও আবিস্কার করেছিলেন তার সমস্ত তথ্য উপাত্ত প্রকাশ করেন ত্রিপল আই এর জার্নালে। ফলশ্রুতিতে ত্রিপল আই তাঁকে রেডিও বিজ্ঞানের পিতা’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

প্রবীরবাবু সমস্ত প্রমানাদি ত্রিপল আই এর জার্নালে প্রকাশ করার পরে,ত্রিপল আই এটা ও ঘোষণা দিতে বাধ্য হয়েছে-স্যার জগদীশ চন্দ্র বসুই রেডিও আসল উদ্ভাবক।

তো, শেষ করছি জগদীশ চন্দ্র বসুর এক চিরস্মরণীয় উদ্ধৃতি দিয়ে-

”আমি শুধু দেখছি না, আমি ভাবছিও। প্যারেবল অফ দি ট্রি। আমি আমার কবিবন্ধুর কাছ থেকে দৃষ্টি ধার করেছি। স্তব্ধ যবনিকার অন্তরালে যা আছে, তা জানতে চাই।”

হ্যাঁ, তিনি ব্যস্ত ছিলেন স্তব্ধ যবনিকার অন্তরালের সব সত্য উদঘাটন করার জন্যে! বস্তুতঃ কোন পুরস্কার বা পরিচিতি পাওয়ার লোভ তাকে আকৃষ্ট করতে পারেনি কখনো। পুরস্কারের ঝোলা তার ও খালি ছিলোনা, ১৮৯৬ সালে লণ্ডন ইউনিভার্সিটি থেকে ডক্টর অফ সায়েন্স উপাধি, ভারত সরকার কতৃক নাইট উপাধি পাওয়া ইত্যাদি পুরস্কার তিনি জীবিত অবস্থাতেই পেয়ে গেছেন। ভারত উপমহাদেশের বিজ্ঞানের জনক এই মহান মনিষী হয়তো নোবেল পুরস্কার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, কিন্তু দুনিয়ার মানুষের যে অফুরন্ত শ্রদ্ধা আর ভালো বাসা তিনি পেয়ে যাচ্ছেন এখনো-এটাই তার জীবনের চরম পাওয়া।

দিনশেষে কথা এটাই-আবিস্কারক নয়, আবিস্কার ই গুরুত্বপূর্ণ।আর এভাবেই, যুগের পর যুগ স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু আমাদের মাঝে আলো ছড়াবেন তার অসংখ্য আবিস্কার আর গুরুত্বপূর্ণ সব কাজগুলো দিয়েই।

ধন্যবাদ সবাইকে।

প্রচ্ছদ- ছবি

ইতিহাস

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

spot_img

সম্পর্কিত নিবন্ধ

জুতা (ছোট গল্প)- আফিন্দী

জুতাবিদ্যুৎ’এর গলার তেজে ফাঁকা মেসরুম গমগম করে উঠলো, “ভাই, তুমি যাবে পাঁচ ভাইয়ে? খিদেয় আমার জান যায়! খালা...

মৃত্যু পরবর্তী জগতের অভিজ্ঞতা 

মৃত্যু পরবর্তী জগতের অভিজ্ঞতা  মৃত্যু পরবর্তী জীবনের অভিজ্ঞতা কেমন? মানুষ তার অনিশ্চিত জীবনে শুধু একটি বিষয়ের নিশ্চয়তা নিয়ে জন্মেছে।...

বুক রিভিউ- হুমায়ূন আহমেদের ‘মেঘ বলেছে যাব যাব’

বুক রিভিউ- হুমায়ূন আহমেদের 'মেঘ বলেছে যাব যাব' বুক রিভিউ- হুমায়ূন আহমেদের 'মেঘ বলেছে যাব যাব'।বইয়ের নাম:মেঘ বলেছে যাব...

ডা. স্যাটান: সিরিয়াল কিলার ডা. মার্সেল পেটিওটের ভয়ংকর গল্প!

তাকে আখ্যা দেয়া হয়েছিল ডা. স্যাটান বলে। তিনি একই সাথে একজন সৈনিক, ডাক্তার, মেয়র, ভয়ঙ্কর অপরাধী এবং সিরিয়াল...