স্টর্মলাইট আর্কাইভ-এর ম্যাজিক সিস্টেম

তারিখ:

পোস্ট শেয়ার করুন:

স্টর্মলাইট আর্কাইভ-এর ম্যাজিক সিস্টেম নিয়ে লিখেছেন- আশরাফুল সুমন

কজমিয়ার! ছোট্ট একটা শব্দ, কিন্তু মাঝে মাঝে ক্ষুদ্রের ভেতরেই লুকিয়ে থাকে গভীর, বৃহৎ সমুদ্র।

কজমিয়ার হচ্ছে ব্র্যান্ডন স্যান্ডারসনের সৃষ্ট ফ্যান্টাসি জগত, যেখানে বিশ্ববিখ্যাত সিরিজ মিস্টবর্ন এবং স্টর্মলাইট আর্কাইভ-এরকাহিনি সংঘটিত হয়েছে। আজ কথা বলবো স্টর্মলাইট আর্কাইভের ম্যাজিক সিস্টেম নিয়ে, খুব খুব ছোট্ট আকারে।

কোনো একটা হাই ফ্যান্টাসি ওয়ার্ল্ডে ম্যাজিক যদি খুব সুনির্দিষ্ট নিয়ম আর সীমা মেনে চলে, তবে তাকে বলে ঐ জগতের ম্যাজিক সিস্টেম। আর এই ম্যাজিক সিস্টেমের জনক বলা হয় ব্র্যান্ডন স্যান্ডারসনকে।

স্টর্মলাইট আর্কাইভ
The Way of Kings, Cover Source: goodreads.com

এই সিরিজের পুরো কাহিনি গড়ে উঠেছে রোশার নামের পাথুরে গ্রহে। এই গ্রহে চার ধরনের ম্যাজিক আছে: সার্জবাইন্ডিং, ভয়েডবাইন্ডিং, ফ্যাব্রিয়াল সায়েন্স এবং ওল্ড ম্যাজিক। এই পোস্টের বিষয়বস্তু শুধুই সার্জবাইন্ডিং।

রোশারের মৌলিক বল দশটা, যাদের বলা হয় সার্জ। আর এই দশটা মৌলিক বলকে যারা ব্যবহার করতে পারে ওদের বলা হয় সার্জবাইন্ডার। সার্জবাইন্ডিং করা যায় স্টর্মলাইট বা বজ্রের আলোকে ব্যবহার করে। এই স্টর্মলাইট সাধারণত জেমস্টোন বা রত্নপাথরে শুষে নেয়া হয়, তারপর সেখান থেকে ব্যবহার করা হয় ইচ্ছেমতো। এটা মানুষকে দেয় দেয়ালের উপর দৌড়ানোর ক্ষমতা, কোনো বস্তুকে আরেক বস্তুতে রূপান্তরের ক্ষমতা, নিজেকে মুহূর্তেই এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা এবং আরো অনেক কিছু।

যুদ্ধের ময়দানে যখন শত্রুপক্ষের তীরন্দাজরা আকাশে একযোগে তীর ছোঁড়ে, তখন কি বাঁচার খুব বেশি উপায় থাকে? অনেক সময় তো ঢালের ফাঁক দিয়েও ঢুকে পড়ে তীর। সার্জবাইন্ডিং ব্যবহার করে আপনি চাইলে সবগুলো তীরকেই আপনার পেছনের দেয়ালের দিকে টেনে নিতে পারেন, আর এভাবে বাঁচিয়ে দিতে পারেন আপনার পুরো সৈন্যদলকে।

স্টর্মলাইট আর্কাইভ
Words of Radiance, Cover Source: goodreads.com

সার্জবাইন্ডিং-এর ক্ষমতা জন্মগত নয়। এই ক্ষমতা স্রষ্টা প্রথমে দিয়েছিলেন তার দশজন মনোনীত ব্যক্তিকে, যাদের বলা হয় হেরাল্ড। ওদের হাতের বিশাল তলোয়ার ‘অনার-ব্লেড’-এর মাধ্যমেই এই ক্ষমতা আসতো তাদের কাছে। কীভাবে স্রষ্টা এই ক্ষমতা হেরাল্ডদের দিয়েছেন, তার রহস্য ভেদ করে ফেলে স্প্রেনরা, এরপর তারা নিজেরাই মানুষদের সাথে আত্মিক বন্ধন গঠনের মাধ্যমে এই ক্ষমতা উপহার দেয়া শুরু করে দেয়।

স্প্রেন কী? এরা এক ধরনের অস্তিত্ব, যারা আকৃতিহীন বা আকৃতিযুক্ত দুরকমেরই হতে পারে। যখনই আশেপাশে কোনো পরিবর্তন হয়, যেমন কেউ ব্যথা পায়, হাসে, ব্যথিত হয়, মৃত্যুমুখে পতিত হয়, বৃষ্টি পড়ে, তখনই স্প্রেনরা আসে। কেউ ব্যথা পেলে আসে পেইন স্প্রেন, বৃষ্টি পড়লে আসে রেইন স্প্রেন, জয়ী হলে আসে গ্লোরি স্প্রেন, মৃত্যুমুখে পতিত হলে আসে ডেথ স্প্রেন। ওরা হচ্ছে পরিবর্তনের কেন্দ্র, যার অর্থ, ওরা সবকিছুরই কেন্দ্র। ওরা আসলে সৃষ্টি-ক্ষমতার একটা অংশ, যে ক্ষমতার বলে সৃষ্টি হয়েছে পুরো কজমিয়ার। আর ওদের ভেতর চেতনা আসে রোশারের বুদ্ধিমান প্রাণীদের সংস্পর্শে আসার মাধ্যমে।

Oathbringer, Brandon Sanderson
Oathbringer, Cover Source: goodreads.com

স্প্রেনরা যখন কোনো মানুষের সাথে বন্ধন তৈরি করে, তাকে বলা হয় নাহেল বন্ড। এই স্প্রেন বা নাহেল বন্ডের ভিন্নতার উপর ভিত্তি করেই একজন সার্জবাইন্ডার পায় যেকোনো দুটি সার্জের ক্ষমতা। আর এই ক্ষমতার উপর ভিত্তি করে সার্জবাইন্ডার আছে দশ রকমের, যেমন উইন্ডরানার, স্কাইব্রেকার, বন্ডস্মিথ, এলসকলার, লাইটউইভার ইত্যাদি।

স্প্রেনরা কিন্তু সবার সাথে বন্ধন তৈরি করে না। তাহলে কাদের সাথে করে? তার আগে বলা প্রয়োজন যে সার্জবাইন্ডারদের দশটা অর্ডারের প্রত্যেকটার সাথে দুটো করে গুণ জড়িত আছে। যেমন, একজন উইন্ডরানারের গুণ হচ্ছে নেতৃত্ব ও রক্ষাদান। স্কাইব্রেকারের গুণ হচ্ছে ন্যায়বোধ এবং আত্মবিশ্বাস। যেসব মানুষের ভেতর এই গুণগুলো জোড়াভাবে পাওয়া যায়, ওদের সাথে বন্ধন তৈরি করতে আগ্রহী হয় স্প্রেনরা। বন্ধন তৈরির আগে যেকোনো স্প্রেন থাকে চেতনাহীন অবয়ব হিসেবে, আর বন্ধন তৈরি করার পর মানুষের সংস্পর্শে পরিবর্তিত হতে থাকে ওরা। ওদের ভেতর তখন ধীরে ধীরে প্রবেশ করতে থাকে আত্মসচেতনতা। নাহেল বন্ড আরো শক্তিশালী হলে ওরা পায় মানব আকৃতি, মানুষের মতো আবেগ-অনুভূতি, ভাবনাচিন্তার ক্ষমতা। আর এইসব পাওয়ার বিনিময়ে ওরা মানুষকে দেয় সার্জবাইন্ডিং-এর ক্ষমতা। অর্থাৎ, এটা একধরনের সিম্বিয়োটিক সম্পর্ক।

এই নাহেল বন্ডের শক্তিমত্তা গভীর হয় বন্ডমেট ঐ গুণ দুটো কী পরিমাণে দেখাচ্ছে এবং ঐ সার্জবাইন্ডিং-এর সাথে সম্পৃক্ত শপথ নিচ্ছে কি না তার উপর। এই নাহেল বন্ধনও কিন্তু ভেঙে যায়। কোনো বন্ডমেট যদি তার শপথের উলটো আচরণ শুরু করে বা শপথ ভেঙে ফেলে, তখন ভেঙে যায় নাহেল বন্ড। আর এই বন্ধন ভেঙে যাওয়ার পর স্প্রেনটার কপালে নেমে আসে ভয়াবহ দুর্যোগ; ও নিজেই তখন ‘ভেঙে’ যায়, এরপর চক্রাকারে ঘুরতে থাকে ব্যথার ঘূর্ণিপাকে। ওর চেতনার বেশিরভাগ অংশই হারিয়ে যায় তার কাছ থেকে, সেই সাথে হারিয়ে যায় সমস্ত স্মৃতি। আর যদি কোনো বন্ডমেট মারা যায়, তখন সে ‘ভেঙে’ না গেলেও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে খুব। আর সঙ্গী হারানোর এই ব্যথা এবং শোক তার কাছে অবর্ণনীয়।

ফুহ, আমি নিজেই নিজের শপথ রাখতে পারছি না! পোস্টটা ছোট রাখবো বলেছিলাম। কিন্তু সর্বাধিক পরিমাণে ছোট রেখেও আমার আর দশটা পোস্টের চেয়ে বড় হয়ে যাচ্ছে। আমার স্প্রেনের সাথে যদি নাহেল বন্ড ভেঙে যায়, তার জন্য স্যান্ডারসন আর তার রোশারের গভীরতাই দায়ী।

Rhythm of War, Brandon Sanderson
Rhythm of War, Cover Source: goodreads.com

পোস্ট ছোট রাখার তাগিদে দ্রুত আসল কাহিনিতে চলে যাচ্ছি। দশ রকম সার্জবাইন্ডিং আছে, যেগুলোর সম্পর্কে খুবই খুবই সংক্ষেপে লিখলাম নিচে।

১। এডহেশান:

একটা বস্তুকে আরেকটা বস্তুর সাথে ‘বেঁধে’ ফেলার জন্য এই সার্জ ব্যবহৃত হয়। এটাকে বলে ল্যাশিং। একজন সার্জবাইন্ডার স্টর্মলাইট দিয়ে প্রথমে একটা বস্তুকে বাঁধে, এরপর চাপ প্রয়োগ করে অন্য বস্তুর উপর, ফলে দুটো বস্তুর মধ্যে তৈরি হয় অসম্ভব শক্তিশালী এক বন্ধন, যা ভাঙা প্রায় অসম্ভব। এমনকি বস্তুগুলো ভেঙে গুঁড়ো হয়ে গেলেও এই বন্ধন ভাঙে না। ব্যবহার করে উইন্ডরানার এবং বন্ডস্মিথরা।

২। গ্র্যাভিটেশান:

দেয়ালের গায়ের উপর হাঁটতে পারলে মজা হতো অনেক, না? কিংবা ছাদের উপর স্পাইডারম্যানের মতো ঝুলে থাকতে বা দৌড়াতে? আর এই দুটোই আপনি করতে পারবেন গ্র্যাভিটেশন সার্জের মাধ্যমে। অভিকর্ষের দিক পরিবর্তন করে সার্জবাইন্ডার নিজেকে ঝুলিয়ে দেয় ছাদ থেকে, দৌড়ে চলে যেতে পারে দেয়াল ধরে। এই ক্ষমতা লড়াইয়ের জন্য খুবই কার্যকরী। ব্যবহার করে উইন্ডরানার এবং স্কাইব্রেকাররা।

৩। ডিভিশান:

প্রচণ্ড রাগ উঠলে কি গ্লাস ভেঙে ফেলেন? করবেন না, ভাঙা কাচ সাফ করা অনেক কষ্টের। আমি নিজে একটু আগে গ্লাস ভেঙেছি, তারপর কাচ পরিষ্কার করতে করতে নিজেই নিজেকে গালাগাল করেছি। আফসোস করেছি এই বলে, আমার যদি ডিভিশান সার্জ থাকতো! তাহলে আমাকে গ্লাস ভেঙে নিজের উপর গজব নাযিল করার দরকার পড়তো না, গ্লাসটাকে স্রেফ স্পর্শ করেই ধুলোয় পরিণত করতে পারতাম। যারা করতে চান তারা অবশ্যই মনে করে নিচে ময়লার বালতিটা রাখবেন, নাহলে এই ধুলো আপনাকেই পরিষ্কার করতে হবে।

আর যারা পুরাতন প্রেমিকার চিঠি পুড়িয়ে ফেলতে চান, তাদেরও ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আপনাদের জন্যেই তো সার্জবাইন্ডিং! ডিভিশান ব্যবহার করে আপনি সহজেই পুড়িয়ে ফেলতে পারেন আপনার পুরাতন প্রেমিকার চিঠি এবং অন্তরঙ্গ মুহূর্তগুলোর প্রমাণ।  
তবে সেজন্য আপনাকে ছোট্ট একটা কাজ করতে হবে। হতে হবে ডাস্টব্রিঙ্গার কিংবা স্কাইব্রেকার।

৪। অ্যাব্রেশান:

স্কিই করেছেন কখনো বরফের উপর? ও, আপনার দেশে বরফ পড়ে না? মন খারাপের কিছু নেই। অ্যাব্রেশান ব্যবহার করে আপনিও পারবেন খটখটে শুকনো মেঝেতে স্কিই করতে। ক্ষমতাটা দ্রুত চলাচল বা সম্মুখ লড়াইয়ের জন্য বেশ উপকারী, যদি আপনি একে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। এটাই এব্রেশান সার্জ। এর মাধ্যমে দুটো সার্ফেসের মধ্যবর্তী ঘর্ষণ বলকে বাতিল করে দেয়া হয়। আর ঘর্ষণ যদি না থাকে, আপনি হাঁটতে পারবেন না, পিছলে চলে যাবেন। ডাস্টব্রিঙ্গার আর এজড্যান্সাররা ব্যবহার করে এই সার্জ।

৫। প্রগ্রেশান:

জন্ম নেয়া এবং সারিয়ে তোলা, এ দুটো ক্ষমতার প্রয়োগ করা যায় এর মাধ্যমে। একজন সার্জবাইন্ডার কোনো গাছের বীজের ভেতর স্টর্মলাইট সঞ্চারিত করলে তা খুব দ্রুত পরিণত হয় পূর্ণ উদ্ভিদে। আবার, এর দ্বারা শরীরের কোনো ক্ষতের টিস্যুর কোষ বিভাজনের হার বাড়িয়ে দেয়ার মাধ্যমে সারিয়ে তোলা যায় যেকোনো ধরনের জখম। এজড্যান্সার এবং ট্রুথওয়াচাররা ব্যবহার করে।

৬। ইলিউমিনেশান:

শ্রবণ আর দৃষ্টির বিভ্রম তৈরি করতে ব্যবহার করা হয় এই সার্জ। এটা করার জন্য দুটো জিনিস লাগে; কল্পনাশক্তি, যার মাধ্যমে মাথার ভেতর ছবি বা শব্দ ফুটিয়ে তুলতে হয়, এবং সৃষ্টির ইচ্ছা, যার মাধ্যমে সার্জবাইন্ডারের সাথে ছবি বা শব্দের আত্মিক সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। আর এ দুটো যখন মিলিত হয়, তখন সৃষ্টি পায় তার রূপ, আর সার্জবাইন্ডার স্টর্মলাইটের ধোঁয়া ছাড়ে তার প্রশ্বাসের সাথে, তৈরি করে ঠিক ঐ ছবি বা শব্দের বিভ্রম। লাইটউইভার আর ট্রুথওয়াচাররা এই ক্ষমতা ব্যবহার করে।

৭। ট্রান্সফর্মেশান:

কোনো বস্তুকে রোশারের দশটা মৌলিক বস্তু বা টেন এসেন্স-এর যেকোনো একটিতে রূপান্তর করা সম্ভব এর দ্বারা। ট্রান্সফর্মেশান ব্যবহার করে রূপান্তর করাকে বলে সৌলকাস্টিং। ব্যাপারটা বেশ মজার, তবে এটা বলার আগে একটা তথ্য জানিয়ে দিতে হবে। কজমিয়ারে প্রত্যেক বস্তুর তিনটা উপাংশ থাকে, আত্মা, শরীর ও মন। এর ফলে কজমিয়ারে জগতও তিন ধরনের; আত্মিক জগত, মনের জগত এবং দৈহিক জগত। মনের জগতে এমনকি জড়বস্তুর জন্যও ভিন্ন একটা রূপ থাকে। আর সবচেয়ে মজার হলো, জড়বস্তুগুলোর চিন্তাভাবনাও ঘুরে বেড়ায় এই জগতেই।

সৌলকাস্টিং-এ ফিরে আসি। প্রথমেই একজন সার্জবাইন্ডার নিজের ইন্দ্রিয়কে মনের জগতে প্রবেশ করতে দেয় (cognitive realm), এরপর ঐ জগতে সেই বস্তুর রূপের সাথে যোগাযোগ করে। সব বস্তুই কিন্তু পরিবর্তিত হতে চায় না। সার্জবাইন্ডার বস্তুকে রাজি করায় পরিবর্তিত হতে, আর যখন বস্তু রাজি হয়, সার্জবাইন্ডার তাকে ইনফিউজ করে স্টর্মলাইট দিয়ে, এরপর রূপান্তর ঘটে একদম সাথে সাথে। এলসকলার আর লাইটউইভাররা ব্যবহার করে এই সার্জ।

৮। ট্রান্সপোর্টেশান:

একজন সার্জবাইন্ডার মুহূর্তেই নিজেকে এক স্থান থেকে আরেক স্থানে নিয়ে যেতে পারে এই সার্জের মাধ্যমে। মনের জগত ও দৈহিক জগতের ভেতর ইচ্ছামতো যাওয়া-আসা করার ক্ষমতা দেয় এই সার্জ। তবে বলে রাখা ভালো, মনের জগতে প্রবেশ করা যত সহজ, বের হওয়া ততই কঠিন। ট্রান্সপোর্টেশান ক্ষমতাসম্পন্ন কোনো সার্জবাইন্ডার এক স্থান থেকে আরেক স্থানে যেতে চাইলে নতুন স্থানে ওর আগমনের ঠিক আগ মুহূর্তে সৃষ্টি হয় স্টর্মলাইট দিয়ে তৈরি বৃত্তাকার এক দেয়াল। এলসকলার আর উইলশেপাররা ব্যবহার করে এই সার্জ।

৯। কোহেশান:

ধরুন, আপনার হাতে ভারী কিছু আছে যা গ্রিপ করতে অসুবিধা হচ্ছে। সমস্যা নেই, তাকে একদম আণবিক পর্যায়ে গিয়ে পরিবর্তন করে দিন, তাকে গোলাকার থেকে পরিণত করুন চতুর্ভুজে, কিংবা আয়তাকার থেকে সামান্তরিকে।  আর এটাই কোহেশান। এর মাধ্যমে কঠিন পদার্থের অণুর বিন্যাস পরিবর্তন করে দেয়া যায়। ব্যবহার করে উইলশেপার ও স্টোনওয়ার্ডরা।

১০। টেনশন:

অদৃঢ় বস্তুকে দৃঢ় করতে চান? ব্যবহার করুন টেনশন সার্জ। এর কাজ করার পদ্ধতি এখনো অজানা। স্টোনওয়ার্ড এবং বন্ডস্মিথরা ব্যবহার করে।

আপাতত এখানেই শেষ। যারা সিরিজটি এখনো ধরেননি বা ধরতে ভয় পাচ্ছেন এর আকৃতি দেখে, তাদের বলছি, আপনারা যে কী মিস করছেন তা নিজেরাও জানেন না। সাহস করে ধরে ফেলুন, এরপর হারিয়ে যান স্যান্ডারসনের কল্পনায় তৈরি সেই অসাধারণ, অভাবনীয়, অতুলনীয় জগতে।      

স্টর্মলাইট আর্কাইভ 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

spot_img

সম্পর্কিত নিবন্ধ

জুতা (ছোট গল্প)- আফিন্দী

জুতাবিদ্যুৎ’এর গলার তেজে ফাঁকা মেসরুম গমগম করে উঠলো, “ভাই, তুমি যাবে পাঁচ ভাইয়ে? খিদেয় আমার জান যায়! খালা...

মৃত্যু পরবর্তী জগতের অভিজ্ঞতা 

মৃত্যু পরবর্তী জগতের অভিজ্ঞতা  মৃত্যু পরবর্তী জীবনের অভিজ্ঞতা কেমন? মানুষ তার অনিশ্চিত জীবনে শুধু একটি বিষয়ের নিশ্চয়তা নিয়ে জন্মেছে।...

বুক রিভিউ- হুমায়ূন আহমেদের ‘মেঘ বলেছে যাব যাব’

বুক রিভিউ- হুমায়ূন আহমেদের 'মেঘ বলেছে যাব যাব' বুক রিভিউ- হুমায়ূন আহমেদের 'মেঘ বলেছে যাব যাব'।বইয়ের নাম:মেঘ বলেছে যাব...

ডা. স্যাটান: সিরিয়াল কিলার ডা. মার্সেল পেটিওটের ভয়ংকর গল্প!

তাকে আখ্যা দেয়া হয়েছিল ডা. স্যাটান বলে। তিনি একই সাথে একজন সৈনিক, ডাক্তার, মেয়র, ভয়ঙ্কর অপরাধী এবং সিরিয়াল...