ডা. স্যাটান: সিরিয়াল কিলার ডা. মার্সেল পেটিওটের ভয়ংকর গল্প!

তারিখ:

পোস্ট শেয়ার করুন:

ডা. স্যাটান
মার্সেল পেটিওট সূত্রঃ ইন্টারনেট

তাকে আখ্যা দেয়া হয়েছিল ডা. স্যাটান বলে। তিনি একই সাথে একজন সৈনিক, ডাক্তার, মেয়র, ভয়ঙ্কর অপরাধী এবং সিরিয়াল কিলার। ধারণা করা হয় তার হাতে ১৫০ ব্যক্তি খুন হয়েছেন। তার অপরাধের তালিকা এবং বিবরণ যে কাউকে বাকরুদ্ধ করে দেবে। নাৎসি বাহিনী থেকে শুরু করে প্যারিসের পুলিশ সবার কাছে তিনি ছিলেন গভীর জলের মাছ ডা. স্যাটান ওরফে মার্সেল পেটিওট। এখানে রয়েছে তারই এক ভয়ংকর গল্প।

ছোটবেলা থেকেই অপরাধের শুরু

পেটিওট এর অপরাধকর্ম শুরু হয় একদম ছোটবেলা থেকে। পেটিওট প্রথমে অপরাধী হিসেবে স্কুল কর্তৃপক্ষের নজরে আসেন তার সহিংস এবং অনুপযুক্ত যৌন আচরণের মাধ্যমে। মাত্র ১১ বছর বয়সে বাবার বন্দুক চুরি করে স্কুলে নিয়ে গিয়ে শ্রেণীকক্ষে গুলি চালান এবং তারই একজন নারী সহপাঠীকে যৌনতার প্রস্তাব দেন।

শুধু তাই নয়, তিনি একবার ক্লাসের দরজা বন্ধ করে কয়েকজন সহপাঠীকে দাড় করিয়ে তাদের দিকে তাদের দিকে চাকু ছুড়ে সার্কাস দেখানোর চেষ্টা করেন। এছাড়াও ১৭ বছর বয়সে তিনি পোস্ট অফিস ডাকাতি এবং সামাজিক সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি দায়ে অভিযুক্ত হন। অপরাধ কর্মকান্ডের জন্য বিচারক তার মানুষিক স্বাস্থ্যের পরীক্ষা করানোর নির্দেশ দেন এবং চিকিৎসকেরা তাকে মানুষিক রোগী হিসেবে চিহ্নিত করেন। কিশোর বয়সেই পেটিওট যেন অপরাধকে আপন করে নেন।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধে সৈনিক পেটিওট 

ডা. স্যাটান
মার্সেল পেটিওট। সূত্রঃ ইন্টারনেট।

মানসিক রোগী হওয়া সত্ত্বেও পেটিওট প্রথম বিশ্বযুদ্ধে একজন ফরাসি সৈনিক হিসেবে নিয়োগ পান। যুদ্ধে আহত হয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে তিনি অন্যান্য সৈনিকদের কম্বল চুরির দায়ে অভিযুক্ত হন। কিন্তু তিনি সুস্পষ্ট কারণ হিসেবে ‘মানুষিক অসুস্থতা’কে দেখিয়ে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পান  এবং তাকে মানুষিক চিকিৎসা নিতে পাঠানো হয়। ডাক্তাররা তার “মানসিক ভারসাম্যহীনতা, স্নায়ুবিকাশ, মানসিক বিষণ্ণতা,  একাকীত্ব, আবেশ এবং বিভিন্ন ফোবিয়ার চিকিৎসা করেন।

তার মানসিক অসুস্থতার নিশ্চিতকরণ এর কারণে অবশ্য তাকে সামরিক চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়নি। ১৯১৮ সালে অর্থাৎ পরের বছর তাকে আবারও রিজার্ভ ফ্রন্টে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে গিয়ে তিনি নিজের পায়ে নিজেই গুলি করেন। পরের বছর তাকে আবার মনস্তাত্ত্বিক মূল্যায়নের জন্য পাঠানো হয়। অবশেষে তাকে অক্ষমতার কারণে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

সৈনিক থেকে ডা. মার্সেল এবং তার অপরাধ পরিক্রমা 

ইতিহাসে যতরকমের সিরিয়াল কিলার সম্পর্কে জানা যায় তারা সবাই কোন না কোন দিক দিয়ে অতিবুদ্ধি সম্পন্ন। মার্সেল পেটিওট এর ব্যতিক্রম নয়। তাকে মেন্টাল এসাইলামে পাঠানোর পর সেখানে থেকে তিনি একটি দ্রুত শিক্ষা প্রোগ্রামে ভর্তি হন। সাফল্যের সাথে তিনি সে প্রোগ্রাম থেকে মেডিকেল ডিগ্রি অর্জন করেন এবং একজন চিকিৎসক হিসাবে তার চর্চা শুরু করেন।

তিনি প্রথমে প্যারিসের একটি গ্রামে গিয়ে চিকিৎসা সেবা দিতে থাকেন। কিন্তু সেখান থেকে তার বিরুদ্ধে প্রচুর অপরাধের অভিযোগ আসতে থাকে। তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে রোগীদের চিকিৎসার নামে উচ্চমাত্রার মাদক প্রদান করতেন। আবার তিনি গোপনে তার রোগীদের জন্য ফ্রান্স সরকারের কাছে সরকারী চিকিৎসা অনুদানের জন্য আবেদন করেন। ফ্রান্স সরকার অনুদানের অর্থ প্রদান করতেন আবার একইসাথে তিনি সেই রোগীদের থেকেও অর্থ গ্রহণ করতেন। সেখানে তার চিকিৎসার নামে উচ্চুমাত্রার মরফিন প্রয়োগের ফলে এক জন নারীর মৃত্যু হয় এবং একজন শিশু প্রায় মৃতপ্রায় অবস্থার সম্মুখীন হন। তবে মৃত্যুর কারণ হিসেবে তিনি ‘স্বাভাবিক মৃত্যু’ দেখাতে সক্ষম হন।

পেটিওট ১৯২৬ সালে তার একজন রোগীর মেয়ে লুইস ডেলাওয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন। তবে প্রেম থাকা অবস্থায় মেয়েটি সন্দেহজনকভাবে নিখোঁজ হন।  প্রতিবেশীরা অভিযোগ করেন তারা ডা. পেটিওটকে তার গাড়িতে একটি বড় ট্রাঙ্ক রাখতে দেখেছিলেন। পুলিশ কয়েক সপ্তাহ পরে ইয়োন নদী থেকে একটি ট্রাংক উদ্ধার করেন। তার মধ্যে ছিলো একটা পচা গলিত মৃতদেহ। লাশ পাওয়া গেলেও তখন আইডেন্টিফিকেশন প্রসেস এখনকার দিনের মতো উন্নত না হওয়ায় লাশটির পরিচত শনাক্ত করা যায়নি। ফলে পেটিওট অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পান।

ডা. পেটিওট যখন মেয়রঃ

সাম্প্রতিক সব কেলেঙ্কারি সত্ত্বেও ডা. পেটিওট খুব অল্পদিনের মাঝেই ভিলেনিউভ-সুর-ইয়োন গ্রামের মেয়র পদে জয়ী হন। ১৯২৭ সালে তিনি জর্জেট ল্যাবলাইস নামের এক নারীকে বিয়ে করেন এবং পরের বছর তাদের একটি ছেলে হয়।

ডা. স্যাটান
পেটিওট যখন মেয়র। সূত্র- ইন্টারনেট।

মেয়র হিসাবেও তার ক্যারিয়ার ছিলো কেলেঙ্কারিতে পরিপূর্ণ ছিল। তার বিরুদ্ধে করের অর্থ আত্মসাৎ এবং রেলপথ ডিপোর তেল চুরি করার অভিযোগ আনা হয়। একারণে তাকে আবারও আদালতে যেতে হয়েছিলো। জরিমানাসহ তাকে তিন মাসের কারাদণ্ড এবং মেয়রের কার্যালয় থেকে তাকে বরখাস্ত করা হয়। কোন একভাবে তিনি কারাদণ্ড থেকে অব্যাহতি পান। তবে এ ঘটনার পর পরই  একজন রেল ইউনিয়ন নেতার বাড়িতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। সেখান থেকে কিছু নগদ অর্থ চুরি যায়  এবং সে ইউনিয়ন নেতার স্ত্রীর লাশ পাওয়া যায়। পুলিশ রিপোর্টে বলা হয় ভদ্র মহিলা অগ্নীদগ্ধ হয়ে মারা যাননি বরং কোন ভোতা অস্ত্রের সাহায্যে তাকে হত্যা করা হয়। পায়ের ছাপ পরীক্ষা করে পুলিশ বলেন হত্যাকারী ভিলেনিউভ-সুর-ইয়োন গ্রাম থেকে এসেছিলেন। পিটিওটকে সেই বাড়ির আশেপাশে দেখেছেন এমন একজন চাক্ষুস সাক্ষী কোর্টে সাক্ষ্য দিতে রাজি হন।  তবে পরের দিনই তাকে পিটিওটের চিকিৎসা কেন্দ্রে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। পিটিওট বলেন তিনি জটিল ডায়গোনোসিসের সময় মারা গিয়েছেন।

ভাগ্যের খেলায় ভিলেনিউভ-সুর-ইয়োনের মেয়র পদ থেকে অপসারণের মাত্র এক মাসের মাথায় তিনি সেই জেলার সাধারণ কাউন্সিলের একটি আসনে জয়ী হন। কাউন্সিলর পদে থাকাকালীন তার বিরুদ্ধে ভিলেনিউভ-সুর-ইয়োন থেকে বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগ আসে। তাকে জরিমানা করা হয় এবং কাউন্সিলে তার আসনটি হারান। এরপর তিনি আবার প্যারিসে চলে যান।

২য় বিশ্বযুদ্ধে ডা. পিটিওটের ভয়ঙ্কর অপরাধঃ 

 

মার্সেল পেটিওট
পেটিওটের পোট্রেট। সূত্র- ইন্টারনেট।

১৯৩৩ সালে প্যারিসে বসবাস শুরু করেন ডাঃ পেটিওট। সেখানে তিনি চিকিৎসা সেবা দিতে মনোযোগী হন। তিনি অত্যন্ত সফলভাবে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছিলেন। এই সফলতার পেছনের ভয়াবহ কারণ জানা যাবে কিছু পরেই।

জার্মানরা যখন ফ্রান্সে দখল করে, তখন ডক্টর পেটিওট নিজেকে নাৎসি প্রতিরোধ বাহিনীর সদস্য হিসেবে প্রচার করতে থাকেন। কিন্তু তিনি কতটা সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন তা নিয়ে সন্দেহ থেকে যায়। তিনি প্যারিসে জার্মান শ্রম শিবিরে বাধ্য করা ফরাসি নাগরিকদের মিথ্যা মেডিকেল রেকর্ড সরবরাহ করতে শুরু করেন, যার কারণে তাদের আর শ্রম শিবিরে ফিরে যেতে হয়নি এবং অসুস্থ শ্রমিকদের চিকিৎসা করতে শুরু করেন।

১৯৪২ সালে তার প্রেসক্রিপশনে মাদকদ্রব্যের অতিরিক্ত ব্যবহারের দায়ে তাকে অভিযুক্ত এবং দোষী সাব্যস্ত করা হয়। জরিমানা দিয়ে ছাড়া পাওয়ার পর তিনি প্রভাবশালী  কিছু ব্যক্তিদের সাথে সখ্যতা গড়েন এবং প্রতিরোধ যোদ্ধা, ইহুদি এবং অপরাধীদের পলায়নে সহায়তা করার জন্য একটি ভুয়া নেটওয়ার্ক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। সেই নেটওয়ার্কের নাম দেন ‘Fly Tox’।  তিনি দাবি করেছিলেন যে তার নেটওয়ার্ক অর্থাৎ ফ্লাই-টক্স, জার্মান আক্রমণকারীদের চোখে পড়ার আগেই নিরাপদে লোকজনকে দক্ষিণ আমেরিকায় নিয়ে যাওয়ার জন্য আর্জেন্টিনার কর্তৃপক্ষের সাথে একযোগে কাজ করছে। আর্জেন্টিনা যুদ্ধের প্রথম দিকে নিষ্ক্রিয় অবস্থানে ছিলো।

আসলে যা ঘটেছিল তা বেশ ভয়াবহ ছিল।  আর্জেন্টিনার সরকারের দাবি অনুযায়ী, ডা. পেটিয়ট বিভিন্ন রোগের টিকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আর্জেন্টিনা সরকারের সাথে একটি ব্যবসায়িক চুক্তি করেন এবং তিনি টিকার বদলে তাদের সায়ানাইড ইনজেকশন দেন। শুধু তাই নয় টিকাগ্রহণকারীকদের সমস্ত অর্থ ও সম্পদ চুরি করেন এবং মৃতদেহগুলোকে দ্রুত সরিয়ে ফেলার উদ্দেশ্যে কিছু সংখ্যক  কবর দেন এবং কিছু সংখ্যক ‘সেইন’ নদীতে ডুবিয়ে দেন। তবে নাৎসি পুলিশ বাহিনী ‘গেস্টাপো’ ফ্লাই টক্সের অপকর্ম সম্পর্কে জেনে যায়। তারা তাদের অফিসে অনুপ্রবেশ করে এবং পেটিওট এবং তার সহযোগীদের গ্রেপ্তার করে জেলে দেয়। গেস্টাপো পেটিওটের এই দ্বিমুখী যুক্তির খেলা ধরতে না পেরে পিটিওটসহ তার স্ত্রী এবং সহকর্মীদের জার্মান গুপ্তচরদের একটি বিস্তৃত নেটওয়ার্কের অংশ মনে করেন এবং ছেড়ে দেন। এ সময় তিনি ডা. স্যাটান নামে পরিচিত হতে থাকেন সবার কাছে।

ডা. স্যাটানের পতন- 

১৯৪৪ সালের জানুয়ারি মাসে; যুদ্ধ শেষ পর্যায়ে ছিল। জার্মানদের জন্য উদ্বেগজনক সব ঘটনা ঘটে যাচ্ছিলো। ঠিক সে সময় প্যারিসে পেটিওটের চিকিৎসা গবেষণাগার থেকে উৎকট দুর্গন্ধযুক্ত ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ার অভিযোগ করেন তাঁর প্রতিবেশীরা। বিষয়টি তদন্ত করতে গিয়ে ফরাসি পুলিশ তার গবেষণাগারের বেসমেন্টে রাখা প্রায় দশটি লাশের খোজ পান। ডা. পেটিওট ফরাসি পুলিশদের বোঝাতে সক্ষম হয়েছিলেন যে মৃতদেহগুলো বিশ্বাসঘাতক এবং জার্মানদের। পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়। তারপর তিনি অবিলম্বে আত্মগোপনে চলে যান। নিজের নাম পরিবর্তন করে রাখেন ‘হেনরি ভ্যালেরি’ এবং ফ্রেঞ্চ ফোর্সেস অফ দ্য ইন্টেরিয়র (এফএফআই) তে যোগ দেন। খুব দ্রুত ক্যাপটেন পদে উন্নীত হন।

ঠিক তখনই ‘রেজিস্ট্যান্সনামক খবরের কাগজে মার্সেল পেটিওটের নামে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। সেখানে তাকে জার্মান দখলদার বাহিনীকে সহযোগিতা করার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়। পুলিশ আবারো পেটিওটের নামে তদন্ত শুরু করে। কিন্তু কাকতালীয় ভাবে পলাতক ব্যক্তির সন্ধানের জন্য ক্যাপ্টেন হেনরি ভ্যালেরি ওরফে ডা. পেটিওটকেই তারা নিযুক্ত করেন। তবে এক মাস পরে ৩১ শে অক্টোবর ১৯৪৪ সালে তাকে প্যারিস মেট্রোতে চিহ্নিত করা হয় যে তিনি হেনরি ভ্যালরি নন বরং খোদ ডা. মার্সেল পেটিওট। তাকে সাথে সাথে গ্রেফতার করা হয়।

শয়তানের বিচারঃ

ডাঃ মার্সেল পেটিওট এর বিচারের সময় ডিফেন্সে নিজেকে তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধা বা রেজিস্টেন্স ফাইটার হিসেবে পরিচয় দেন। । তিনি কোর্টে ফ্রান্সের শত্রুদের হত্যা করার গল্প বলেন। তিনি দাবি করেছিলেন যে মৃতদেহগুলি কিভাবে তার বাড়িতে এসেছিলো সে সম্পর্কে তার কোনও জ্ঞান নেই এবং আরও দাবি করেন তার ‘ফ্লাই-টক্স’ সংস্থার সদস্যরা হয়তো তার অজান্তেই মানুষগুলিকে হত্যা করে এনে কবর দিয়েছে।

যাইহোক, বিচারক  এবং জুরি তার গল্পগুলি বিশ্বাস করার কোন কারণ খুঁজে পাননি। শেষ পর্যন্ত ডা. মার্সেল পেটিওটের বিরুদ্ধে 27টি খুনের অভিযোগ আনা হয়েছিল। তবে  তিনি নিজে ১৯৪০ থেকে ১৯৪৫ সালের মধ্যে মোট ৬৩ জন “জার্মান এবং তাদের সহযোগী”কে হত্যা করেছেন বলে দাবি করেন৷ তবে যেসব প্রমাণ পাওয়া যায় তার ভিত্তিতে তাকে ২৭টি খুন এবং ৯৯টি অন্যান্য ফৌজদারি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং মৃত্যুদণ্ড আদেশ দেওয়া হয়।

১৯৪৫ সালের ২৫শে মে তার শিরশ্ছেদ করার আগে তার শেষ কথা ছিল:Gentlemen, I ask you not to look. This will not be very pretty.”এভাবেই ডা. মার্শাল পেটিয়ট ওরফে ডা. স্যাটানের আতঙ্কের রাজত্বের অবসান হয়।

  • আলেক্সাই তানভীর

সূত্রঃ

  1. https://web.archive.org/web/20121007230412/http://www.trutv.com/library/crime/serial_killers/history/petiot/5.html
  2. https://en.wikipedia.org/wiki/Villeneuve-sur-Yonne
  3. https://www.businessinsider.com/yes-bayer-promoted-heroin-for-children-here-are-the-ads-that-prove-it-2011-11
  4. https://murderpedia.org/male.P/p/petiot-marcel.htm
  5. https://www.history.com/this-day-in-history/germans-enter-paris#:~:text=On%20June%2014%2C%201940%2C%20Parisians,troops%20enter%20and%20occupy%20Paris.
  6. https://en.wikipedia.org/wiki/Paris_in_World_War_II
  7. https://historyofyesterday.com/dr-satan-frances-world-war-ii-serial-killer-physician-78918ea04e9d
  8. https://en.wikipedia.org/wiki/Marcel_Petiot
  9. http://murderpedia.org/male.P/p/petiot-marcel.htm

গল্পসল্প ইতিহাস 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

spot_img

সম্পর্কিত নিবন্ধ

জুতা (ছোট গল্প)- আফিন্দী

জুতাবিদ্যুৎ’এর গলার তেজে ফাঁকা মেসরুম গমগম করে উঠলো, “ভাই, তুমি যাবে পাঁচ ভাইয়ে? খিদেয় আমার জান যায়! খালা...

মৃত্যু পরবর্তী জগতের অভিজ্ঞতা 

মৃত্যু পরবর্তী জগতের অভিজ্ঞতা  মৃত্যু পরবর্তী জীবনের অভিজ্ঞতা কেমন? মানুষ তার অনিশ্চিত জীবনে শুধু একটি বিষয়ের নিশ্চয়তা নিয়ে জন্মেছে।...

বুক রিভিউ- হুমায়ূন আহমেদের ‘মেঘ বলেছে যাব যাব’

বুক রিভিউ- হুমায়ূন আহমেদের 'মেঘ বলেছে যাব যাব' বুক রিভিউ- হুমায়ূন আহমেদের 'মেঘ বলেছে যাব যাব'।বইয়ের নাম:মেঘ বলেছে যাব...

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর রহস্যময় অন্তর্ধান!

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর রহস্যময় অন্তর্ধান! ১৯৪৫ সালে জাপানের তাইহুকু শহরের সেই প্লেন দুর্ঘটনা! নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু বলেছিলেন,"সবাই বলে রাজনীতি নোংরা-আবর্জনা।...